December 20, 2024, 8:40 am

শিরোনাম :
Yemen পেকুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ ৫ জন নিহত চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত; আহত দুই সকল ভেদাভেদ ভুলে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে : অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সজীব সিকদার গণঅভ্যুত্থানের শততম দিন উপলক্ষে চকরিয়া পৌরশহরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চকরিয়ায় তায়াকোয়ানডো একাডেমি কর্তৃক কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা আরাফাত রহমান কোকো মেমরিয়াল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট পর্তুগালের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন সিলেট সিক্সার্স পর্তুগালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস’র পরিচিতি সভা ও অভিষেক চকরিয়ায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পৃথক ২ মামলা: আসামি ৭৩৬ জন
নিয়তির ভোগান্তি প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এর শেষ কোথায়!

নিয়তির ভোগান্তি প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এর শেষ কোথায়!

স্টাফ রিপোর্টার খুলনা বিভাগ

দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা এখনো গলার কাটা হয়েই আছে দশ গ্রামের মানুষের। সামান্য বৃষ্টিতে ওই রাস্তা পাড়ি দিতে তাদের দশ কিলোমিটার। আর এভাবেই চলছে যুগের পর যুগ। প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলে যাচ্ছে, কিন্তু রাস্তাটি নির্মাণের কোন উদ্যোগ
নেই দায়িত্বশীলদের। জানা যায়, ঝিনাইদহের কোটচাদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের রাস্তার চিত্র এটি। রাস্তাটি লক্ষিপুর, দয়ারামপুর, ধোপাবিলা ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের মোড় থেকে ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের সঙ্গে মাত্র দেড় কিলোমিটারের কাঁচা রাস্তা। এই রাস্তাটি এখনো দশ গ্রামের মানুষের গলার কাঁটা হয়েই আছে। চুয়াডাঙ্গা গ্রামের জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিনিয়ত। রাস্তাটি দিয়ে আমরা যাতায়াত করি। এ ছাড়া রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করেন ও মাঠের ফসল ঘরে তোলেন প্রায় দশ গ্রামের মানুষ। যার মধ্যে রয়েছে, ভোমরাডাঙ্গা, সোয়াদি, চুয়াডাঙ্গা, যোপাবিলা, মল্লিকপুর, ভগবানপুর, লক্ষিপুর, শিবনগর, দয়ারামপুর। তিনি বলেন,রাস্তাটির লক্ষিপুর মোড় থেকে ভোমরাডাঙ্গা গ্রাম পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা। সামান্য বৃষ্টি হলেই ওই দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে আমাদের ঘুরতে হয় দশ কিলোমিটার।তিনি আরো বলেন, আমার দাদা, বাবা এভাবে বসবাস করে গেছেন। আমাদের জীবনও প্রায় শেষ। জানি না আমরা জীবিত থাকতে রাস্তাটি হবে কিনা। জামিরুল ইসলাম বলেন,রাস্তাটি দিয়ে এলাকার মানুষ মাঠ থেকে তাদের উৎপাদিত ফসল বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যেতে হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় আগের সনাতন পদ্ধতি গরুর গাড়ি ও দিন মজুরের মাধ্যমে মাথায় করে তা বহন করতে হয়। লক্ষিপুর গ্রামের সাত্তার আলী ও আশরাফুল আলম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, কত জরুরি মানুষ এ রাস্তায় আসলো কেউ করে দিতে পারলো আমাদের এ রাস্তা। আমাদের বাপ দাদারা এভাবে কষ্ট করে চলাচল করে জীবন পার করেছেন। এখন আমাদের জীবন পার করার মত হয়ে গেল। জানি না আমাদের ছেলে মেয়েরা ভাল রাস্তায় চলাচল করতে পারবে কিনা। তবে আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছি। এখন নিজেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুণ্ডু বলেন,রাস্তাটি সম্ভবত আমাদের। তবে রাস্তাটি সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নাই। আমি সরেজমিনে দেখার জন্য আমার অফিসের হুইজাইফাকে দায়িত্ব দিয়েছি। ওনি এসে রিপোর্ট করলে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।
তবে প্রকৌশলীর আশ্বাসের এক মাস পার হয়ে গেলেও ওই রাস্তা সংক্রান্ত কোন তথ্যই আজও দিতে পারেনি গণমাধ্যম কর্মীদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

Comments are closed.




© All rights reserved © 2020 districtnews24.Com
Design & Developed BY districtnews24.Com